তথ্য অধিকার আইন
তথ্য অধিকার আইন বাংলাদেশের যুগান্তকারী একটি আইন। নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এর চেয়ে শক্তিশালী আর কোন আইন আমাদের দেশে নেই। আইনটি আমাদের জাতীয় সংসদে মার্চ ২০০৯ সালে পাশ হওয়ার পর ১ জুলাই ২০০৯ থেকে কার্যকর হয়েছে। এটি ব্যবহার করে জনগণ সবরকম সরকারী প্রতিষ্ঠান ও কিছু কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের (যারা সরকারী বা বিদেশী অনুদানে পরিচালিত হয়) কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা স্থাপনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। আইনটি চালু হবার ফলে ব্রিটিশ আমলে তৈরী “সরকারী গোপনীয়তা আইন ১৯২৩” এর কার্যকারিতা আর নেই বললেই চলে। আগে যেসব সরকারী তথ্য গোপন ছিল, এখন জনগণ তা জেনে নিজেদের কিছু সুবিধা যেমন আদায় করে নিতে পারে তেমনি সেই সব প্রতিষ্ঠানের কাজের ওপর নজরদারী স্থাপন ক’রে তাদের কাজকে আরো নিয়মতান্ত্রিক ও সত্যনিষ্ঠ করে তুলতে পারে। জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় এর চেয়ে আরো ভাল কোন হাতিয়ার আমাদের দেশে নেই। তাই এই আইনটি সকল নাগরিকের জানা খুব প্রয়োজন। তারা এই আইনটির যথাযথ ব্যবহার না করলে এটি কাগুজে আইনই থেকে যাবে। আইনটি বুঝতে ও এর প্রয়োগে সহায়তা করতে আমরা এই ওয়েবসাইটে তথ্য অধিকার আইনের যাবতীয় দিকসমূহ তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি।
নিম্নের “তথ্য অধিকার আইন ২০০৯” লিখিত অংশটি ক্লিক করলে সম্পূর্ণ তথ্য অধিকার আইনটি বাংলায় এবং Right to Information Act 2009 লিখিত অংশটি ক্লিক করলে সম্পূর্ণ তথ্য অধিকার আইনটি ইংরেজীতে দেখতে পাওয়া যাবে।